সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি।।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে আজ ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকানপাঠ খোলা যাবে সরকারিভাবে এমন ঘোষনার পর থেকেই মির্জাগঞ্জ হাটবাজারে জন সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ কাপড় সহ অন্যান্য দোকান গুলোতে ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছু নেই।
রবিবার (১০ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার বিভিন্ন গার্মেন্টের দোকান ও কাপড়ের বড় বড় দোকান ঘুরে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় না মেনে গাদাগাদি করে গায়ে গা ঘেঁষে কেনাকাটা করছে। বাজারের প্রায় সব দোকানেই ঠিক একই রকমের চিত্র। সরকারি নির্দেশনা মতে ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে সকল দোকান খোলা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই উপজেলার সুবিদখালী বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা যায়।
মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা উপেক্ষা করে বাজারের অনেক দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে চলছে কেনাকাটা। পুলিশের গাড়ি বা ম্যাজিস্ট্রেট আসছে শোনা মাত্র দোকানের গেট বন্ধ করা হয়। কিছু সময় পরে পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়া বা মোবাইল কোর্ট স্থান ত্যাগ করা মাত্র আবার খোলা হয় দোকান।
দোকানীরা কিছুতেই করোনা বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে বাজারগুলো করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সরোয়ার হোসেন জানান, মহামারী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন কেনাবেচা করা হয় সেজন্য প্রতিদিন বাজারগুলোতে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কখনও মোবাইল কোর্ট স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানাও করছে।
উলেখ্য, মির্জাগঞ্জে প্রথম করোনা সনাক্ত হয় ৫ মে। এরপর ১০টি ঘর লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন।